ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি ?কিভাবে শিখবো -2024

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল এমন একটি পণ্য যা সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল ফরম্যাটে থাকে এবং কোনও শারীরিক উপাদান ছাড়াই সরবরাহ করা হয়। যেমন:
* আপনি কারও জন্য ফেসবুক কভার ফটো তৈরী করে দিলেন এটি একটি ডিজিটাল পণ্য।
* আপনি কারও জন্য 1000 ওয়ার্ডের একটি আর্টিকেল লিখে দিলেন এটি একটি ডিজিটাল পণ্য।
* আপনি কাউকে একটি লোগো ডিজাইন করে দিলেন।
* আপনি কাউকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিডিও তৈরি করে দিলেন।
* আপনি একটি ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে দিলেন।
* আপনি কোন সফটওয়্যার তৈরি করে দিলেন
ইত্যাদি সহ আরো বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে, বর্তমান মেটাভাস এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নতুন একটি ট্রেন্ডিং টপিকস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এগুলো সব ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর উদাহরণ।

বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রোডাক্টের বাজার এখনো একটি উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে, তবে এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনেক বেশি। বাজারের বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে এই খাতের বিকাশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যদি আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি বা বাজারজাত করতে আগ্রহী হন, তবে এটি একটি ভাল সময়, বিশেষ করে যদি আপনি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজারে সুযোগ সন্ধান করেন।

১০০টি লাভজনক ডিজিটাল প্রোডাক্টস আইডি যা আপনি  অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন

এই রকম একটি PDF আমার কাছে আছে যদি লাগে কমেন্টে বলুন বা email করতে পারেন আমি আপনাকে দিয়ে দিবো 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট

অনলাইনে বিক্রয়যোগ্য কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্টস

উপরে পাওয়া আইডিয়া থেকে আপনি ধরন আলাদা করতে পারেন। 

আপনি ৪ ধরনের প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন। 

শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্রোডাক্টস

ডিজিটাল টুলস অ্যান্ড টেমপ্লেটস

লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস

সদস্যপদ 

এ লেখায় এ চার ধরনের প্রোডাক্টসের বিস্তারিত তুলে ধরছি। পাশাপাশি অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য বাস্তব জীবনের উদাহরণও তুলে ধরা হল। 

১. শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্রোডাক্টস

প্রত্যেকে নতুন কিছু শিখতে চায়- এটি হতে পারে টুইটার মার্কেটিং, মনে রাখার কৌশল ইত্যাদি। 

যদি কোনো কিছুর উপর আপনার উৎসাহ থাকে, তাহলে সে বিষয়ের উপর অপরকে আপনি শেখাতেও পারেন।  

যেমন, আপনি অনলাইন থেকে নিতা স্ট্রুসের ভিডিও কোর্স গিটার বাজানোর পদ্ধতি থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। 

২. ডিজিটাল টুলস এবং টেমপ্লেটস

মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য অনলাইনে বিভিন্ন টেমপ্লেট খুঁজে। আপনি তাদের জন্য বিভিন্ন রকম ডিজিটাল টুলস অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। 

যেমন, প্রিন্ট ম্যাটেরিয়ালস, ওয়েবসাইট কিংবা সোশাল মিডিয়া পোস্টের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন টেমপ্লেটস বিক্রয় করতে পারেন। 

৩. লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস

অনেক উদ্যোক্তা লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি করে থাকেন। যার কমন কিছু উদাহরণ হল: 

মিউজিক লুপস

সাউন্ড ইফেক্টস

স্টক ভিডিওস এবং ফটোস

৪. সদস্যপদ

অনেক উদ্যোক্তা চলমান সদস্যপদ বিক্রয় করে থাকে, যে সদস্যপদ ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারী এক্সক্লুসিভ অফার পায়। এ ধরনের সদস্যপদ থাকার বেশ কিছু আছে।  সাধারণত কোনো প্লাটফর্মে কোনো একটি পণ্যের দাম ২ ডলার হলে মাসে ১০ ডলার পে করে আনলিমিটেড পণ্য কেনা যায়। যেমন ক্যানভাপ্ররো ।

এবার আসি ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন কিভাবে?


ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট- শুধু তৈরি করলেই হয় না, বিক্রয়ও করতে হয়। অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করতে পারার আটটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হল।  

১. আইডিয়া এবং রিসার্চ আইডিয়াস

শুরুতে আপনি এক টুকরো কাগজ এবং কলম নিন। এ পর্যন্ত যে কয়টি ডিজিটাল পণ্য নিয়ে চিন্তা করেছেন, তা লিখুন। কোনো আইডিয়া গোছানোর জন্য অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না এবং আপনার  আইডিয়া যেন জটিল না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন, প্রথমদিকে আপনি কোনো একটি ডিজিটাল পণ্য তৈরি করার জন্য আপনি বিশেষজ্ঞ হবেন না। আপনি শুধুমাত্র  ভ্যালু অ্যাড করতে চাচ্ছেন। 

এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন

আপনার এমন কি কি জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে যা দিয়ে অপরকে শেখাতে পারবেন? 

আপনার আগ্রহের জায়গাসমূহ কি কি, যে বিষয়ে কথা বলতে দিলে আপনি সারাদিন কথা বলতে পারবেন? 

আপনার কোনো ব্যবসা থেকে থাকলে সে ব্যবসার ফিজিক্যাল পণ্যকে সাপোর্ট করার জন্য কোন কোন ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন? 

যেমন, আপনি বিলিয়ার্ড বোর্ড বিক্রয় করে থাকেন, আপনি কি এমন কোনো অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারবেন যা দিয়ে মানুষ তার বিলিয়ার্ড খেলার স্কিল বাড়াতে পারবে। 

আপনি কোন কোন মূল্যবোধ ধারণ করেন? সে মূল্যবোধকে বাস্তব জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য আপনি মানুষকে শেখাতে চান? যেমন, আমি মানুষের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন। আমি মনে করি, আমাদের দেশের মানুষের আরো বেশি স্কিল থাকা্ উচিত, যা থাকলে বিশ্বদরবারে আমাদের মাথা আরো উঁচু থাকবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। 

আপনার ব্রেইনস্টর্মিং শেষ হলে আপনি রিসার্চ করা শুরু করুন। 

এবার আপনার বর্তমান আইডিয়াসমূহ চিহ্নিত করুন এবং দেখুন, এ বিষয়ে অন্যরা অনলাইনে কি বিক্রয় করছে। গুগল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সার্চ করুন। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, রেডিট সাবরেডিটস এবং ইন্ডাস্ট্রির ফোরামে কি তথ্য আছে ঢু মারুন। 

প্রতিটি আইডিয়াকে এক্সপ্লোর করুন। নতুন কোনো আইডিয়া যুক্ত হলে তা নোট করুন। 

২.সমাধানের জন্য একটি পেইনফুল প্রবলেম খুঁজুন

আপনার যদি আইডিয়ার একটি বড় তালিকা থাকে, আপনি এবার আইডিয়াসমূহকে মূল্যায়ন করা শুরু করুন। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি সমস্যা নিয়ে সযত্নে চিন্তা করুন যেমন প্রতিটি প্রবলেম সমাধান করা যায়।  পেইনফুল প্রবলেমের র‌্যাংক করুন। 

উদাহরণ, আপনি বাড়িতে কোনো ব্যায়ামের সরঞ্জাম ছাড়াই নিজেকে ফিট রাখার কৌশল নিয়ে একটি কোর্সের পরিকল্পনা করছেন, যে কোর্স করলে মানুষ যেভাবে সুবিধা পেতে পারে। 

এক. তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। 

দুই. আত্মবিশ্বাস বাড়

তিন. জিমের ইনস্ট্রাক্টরকে দেয়া সময় এবং অর্থ বাঁচবে। 

পাশাপাশি পেইনফুল প্রবলেমগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। 

৩. নিশ নিশ্চিত করুন এবং একটি মার্কেটকে টার্গেট করুন

মাথায় রাখুন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভাল নতুন পণ্য নিয়ে আপনি মাঠে নামলেও মার্কেট ধরেতে সময় লাগবে। সে তুলনায় মার্কেটে চাহিদা আছে, কিন্তু সে ধরনের কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট না থাকলে কম সময়ে মার্কেট ধরতে পারবেন। 

একসাথে অনেক বিষয় নিয়ে কাজ না করে, একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করুন। 

৪. আপনার আইডিয়া ভ্যালিডেট করুন 

আপনি কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করছেন। তাই, আশেপাশের বন্ধুর কাছ থেকে পরামর্শ না নিয়ে অনলাইন থেকে চাহিদা নিন। 

গুগলেল কিওয়ার্ড প্ল্যানারের মাধ্যমে জানতে পারবেন,  কোন কিওয়ার্ডের উপর মানুষ কি পরিমাণ গুগলে সার্চ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে গুগল ট্রেন্ডস থেকে জানা যায়, বছরের কোন সময়ে কোন জিনিসের ভাল চাহিদা থেকে থাকে। 

৫. আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করুন

আপনি যদি একটি উইনিং আইডিয়া পেয়ে যান, আপনার ডিজিটাল পণ্য তৈরি করার সময় এখন-ই। যদি এখনো আইডিয়া না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে একটি ফরম্যাট পছন্দ করতে হবে। 

সবসময় চেষ্টা করবেন, এ ফরম্যাট যেন সিম্পল হয়। আপনি আপনার ডিজিটাল দক্ষতা ধাপেধাপে ইমপ্রুভ করতে পারেন। আবার, আপনার কাস্টমারের নিড এবং প্রত্যাশা অনুসারে নিজের স্কিল ইম্প্রুভ করতে পারেন। 

আপনি কোনো ভিডিও কোর্স অফার করতে চাইলে প্রথম একটি বা দুইটি লেসন বিনামূল্যে দিতে পারেন। 

৬. একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করুন 

অনলাইন স্টোর তৈরির খরচ নিয়ে ভাবছেন? প্রথমে নিজেই আলাদা ওয়েবসাইট না করেন সফিপাই বা এরকম কোসো প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। এ স্টোরের মাসিক চার্জ মাত্র ৩৯ ডলার। 

৭. ট্রাফিক নিয়ে আসুন

আপনি সবকিছু সেটআপ করে ফেলেছেন, এখন আপনার বিক্রি করার সময়। নিচে ৭ ধরনের ইন্টারনেট মার্কেটিং তুলে ধরা হল যা ব্যবহার করে আপনি আপনার বিক্রয় জেনারেট করতে পারেবেন। 

পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট: গুগল অ্যাডস এবং ফেসবুক অ্যাডসের মত অ্যাডভার্টাইজেমন্ট প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। 

সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার টার্গেট মার্কেটের কাছে পৌছাতে কনটেন্ট শেয়ার করুন এবং তাদেরকে এনগেজ করুন। 

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: আপনার মার্কেটের সাথে কাজ করে এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে পার্টনারশিপ করুন এবং তাদের অডিয়েন্সের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করুন। 

কনটেন্ট মার্কেটিং:  এমন কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করুন যা ব্যবহার করে মানুষকে আকৃষ্ট করা থেকে শুরু করে কাস্টমার হিসেবেও কনভার্ট করা যায়। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করুন যেন আপনার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে দেখানো হয়। সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক উপরে নিয়ে আসুন যেন ভাল কোয়ালিফাইড লিড আসে।

ইমেইল মার্কেটিং: সম্ভাব্য কাস্টমারদের কন্টাক্ট তথ্য সংগ্রহ করুন এবং তাদের নার্চার করুন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: থার্ড পার্টির মার্কেটারদের ইনসেনটিভ দিন যেন তারা যেন একটি ফি বা কমিশনের বিনিময়ে আপনার অফার প্রমোট করে। 

এভাবে আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি এবং বিক্রয় করতে পারবেন।


এই বিষয়গুলোর উপরে যদি আপনার পূর্ণাঙ্গ স্পষ্টতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে এই পদ্ধতিগুলোর সাহায্য নিয়ে আপনার ডিজিটাল পণ্যের বিক্রি শুরু করে দিতে পারেন

ইত্যাদি আরও অসংখ্য সেলস চ্যানেল রয়েছে, এই বিষয়গুলোর উপরে যদি আপনার পূর্ণাঙ্গ স্পষ্টতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে এই পদ্ধতিগুলোর সাহায্য নিয়ে আপনার ডিজিটাল পণ্যের বিক্রি শুরু করে দিতে পারেন।

এরকম অসংখ্য আইডিয়া আপনি ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যাবেন এটা আমি আশা করি ।
এখন ইন্টারনেট থেকে আইডিয়া আপনিও সংগ্রহ করতে পারবেন, আমিও সংগ্রহ করতে পারব কারন এটি এখন একটি মুক্ত বিশ্বে পরিণত হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাস্তবায়নের বিষয়ে পুরোটা আলাদা, যার জন্য দরকার হবে একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ব্যক্তির শরণাপন্ন হওয়া।

1 thought on “ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি ?কিভাবে শিখবো -2024”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *